‘সবাই শুধু নেগেটিভটাই দেখে,পজিটিভ কিছু দেখে না। আপনারা টিসিবির লাইনে মানুষের হুড়োহুড়ি দেখেন,কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য হাতে পেয়ে ক্রেতার সন্তুষ্টির হাসি দেখেন না।সবাই যদি নেগেটিভটাই দেখেন তবে কী লাভ এই মন্ত্রিগিরি করে?এভাবেই হতাশা ব্যক্ত করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সোমবার(১৪ মার্চ)সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এমনটা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন,মানুষের কষ্ট লাঘবেই সরকার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল,চিনি ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে।প্রতিদিন একটি ট্রাকে যে পণ্য দেওয়া হয়,তাতে হয়তো আড়াইশ’জন পণ্য পান।লাইনে হয়তো দাঁড়ান তিনশ।৫০ জন ফিরে যান পণ্য না পেয়ে। সংবাদপত্রে ওটাই লেখা হয় যে,টিসিবির পণ্য পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। কিন্তু আড়াইশ’জন যে খুশি মনে বাড়ি গেলেন তাদের ছবি দেখানো হয় না।তাদের কথা লেখাও হয় না।
টিপু মুনশি জানিয়েছেন,টিসিবির পণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে প্রস্তুতি রয়েছে।কিন্তু কিছু মানুষ এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন।একবার নিয়ে আবার লাইনে দাঁড়ায়।এটি ঠেকানো যাচ্ছে না।তবে কীভাবে ঠেকানো যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ভোটের সময় ব্যবহার করা অমোচনীয় কালি ব্যবহার করে তাদের চিহ্নিত করা যায় কিনা সেটিও দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও বলেন,১০টা ভালো কথা বলার পর একটা কথা মুখ ফসকে বেরিয়ে গেলে সেটাই শিরোনাম হয়।আমি সোজাসাপটা মানুষ।প্যাঁচ বুঝি না।তাই যদি শুধুই নেগেটিভ লেখেন তাহলে এই মন্ত্রিগিরি করে লাভ কী?মাঝে মাঝে তো মনেই হয়,চলে যাক এই মন্ত্রিগিরি।আর ভালো লাগে না এসব।
ই-কমার্সে ভোক্তার-অধিকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,একজন ক্রেতা যখন ১০টি মোটরসাইকেল কেনার জন্য টাকা জমা দেন,তখন তো তিনি ভোক্তা থাকেন না,ব্যবসায়ী হয়ে যান।তিনি যদি ভোক্তার অধিকার চান সেটি তার জন্য অযৌক্তিক।
★প্রকাশক:- মোঃ মোশারফ হোসেন তোকদার।
★ব্যবস্থাপনা পরিচালক:- মোঃ এম,খোরশেদ আলম,সভাপতি প্রেসক্লাব পীরগাছা,রংপুর বিভাগ।
© All rights Reserved © 2020 গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত এই ওয়েবসাইটি Tokdernews.com বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পোর্টাল।